প্রযোজক কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বলিউড সুপারস্টার আমির খানের। গত বছরের জুলাইয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে বিয়েবিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন এ জুটি।
জনপ্রিয় এই জুটির বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি তাদের ভক্ত-শুভাকাঙক্ষীরা। এতোদিন সংসার করে কেন বিচ্ছেদের পথে পা মাড়ালেন এর সুলোক সন্ধানে চলেছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
অবশেষে ছাড়াছাড়ি নিয়ে মুখ খুললেন আমির খান। ১৫ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিচ্ছেদ হয় বলিউডের এ জনপ্রিয় জুটির।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আমির খান জানান, কিরণের পরিবারের কোনো বিষয় নিয়ে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করতেন না তিনি। বেশ কয়েক বছর আগে আমিরকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন কিরণ।
এ বিষয় আমির বলেন, পরিবার হিসেবেও আমরা যখন কোনো আলোচনা করতাম, আমার মন নাকি অন্য কোথাও পড়ে থাকত। কিরণ খুব মিষ্টি করে বলত— ‘আমি তোমাকে বদলে ফেলতে চাই না। কারণ বদলে গেলে তুমি তো একটা অন্য মানুষ হয়ে উঠবে।
যে মানুষকে আমি ভালো বেসেছিলাম সে তো আর থাকবে না। আমি তোমার বুদ্ধি ও ব্যক্তিত্বকে ভালোবাসি। তাই চাই না তুমি কখনও বদলে যাও। সাত বছর আগে কিরণ আমায় কী বলেছিল তা ভেবে দেখলে এখন আমি ভাবি যে গত ৬-৭ মাসে আমি অনেকটা বদলে গেছি।’
সে জন্যই কি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, জানাতে চাইলে আমির বলেন, আমি ওকে খুব ভালোবাসি। পরস্পরের জন্য আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। কিন্তু মানুষ এটা বুঝতে পারে না, কারণ মানুষ এটা দেখতে অভ্যস্ত নয়। কিরণ আর আমি পরিবারের মতো। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গেছে।
বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানকে আমরা অশ্রদ্ধা করতে চাই না। তবে আমরা পরস্পরের পাশে সব সময় থাকব। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা কাছাকাছি থাকি। কিন্তু আমরা আর স্বামী-স্ত্রী নই। আর সে জন্যই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিচ্ছেদের পেছনে অন্য কোনো প্রেম বা অন্য কোনো মানুষ নেই বলে জানিয়েছেন আমির খান। বলিউড অভিনেতা ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে তার নাম জড়িয়েছে। অনেকে মনে করছেন ফাতিমার জন্যই নাকি সম্পর্কের ইতি টেনেছেন আমির। কিন্তু অভিনেতা জানালেন তার আর কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।